মাথা ঘোরা

মাথা ঘোরানোর সমস্যা অত্যন্ত পরিচিত। মাথা ঘোরানোকে মেডিক্যেলের ভাষায় “ভার্টিগো” বলে। এটি বড় কোনো রোগ নয়, অনেক সময় সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট, কাউন্সেলিং, স্বল্পমাত্রার ওষুধেও এটি সেরে যায়। মাথা ঘোরানোর সঠিক কারণ শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাথা ঘোরার কয়েকটি ধরনঃ

সাধারণত মাথা ঘোরা দুই রকমের-

  • সিওডো ভার্টিগো (সাধারণ মাথা ঘোরা) রোগী মনে করেন মাথার ভেতর ঘুরছে, মনে হচ্ছে পরে যাবেন, ভারসাম্যহীন হয়ে যাবেন। যেমন, বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময়, হাঁটতে গেলে বা উঁচু কোন জায়গায় দাঁড়ালে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় থাকলে এমনটা হতে পারে। এধরনের মাথা ঘোরাকে মেডিক্যেলের ভাষায় সিওডো ভার্টিগো বলা হয়ে থাকে।
  • ট্রু ভার্টিগো (বিশেষ ধরনের মাথা ঘোরা) সাধারণ মাথাঘোরার কারণগুলো ছাড়াও কারোর যদি মস্তিষ্কে স্ট্রোক, টিউমার বা ইনফেকশন থাকে, চোখে ও কানে যদি কোন সমস্যা থাকে যেমনঃ – কানে কম শোনা, কানে পানি যাওয়া, পুঁজ বা ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে মাথা ঘোরে তাহলে, সেই অবস্থাকে ট্রু ভার্টিগো বলে।
  • মাথা ঘোরার অন্যান্য কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায়, শারীরিক দুর্বলতা এবং অন্যান্য যেকোনো শারীরিক অসুস্থতা থাকলে একজন মানুষের মাথা ঘোরাতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলে মাথা ঘুরতে পারে। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও মাথা ঘোরে।

মাথা ঘোরার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুনঃ

মাথা ঘোরা সমস্যা প্রতিরোধের উপায়ঃ

  • কাজের চাপের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ কমানো
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত সময় ঘুমানো
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা অথবা নিয়মিত ব্যায়াম করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • পুষ্টিকর ও পরিমিত খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা
  • ধূমপান বা যেকোনো মাদক গ্রহণ না করা
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতায় প্রয়োজনে কাউন্সিলিং বা পরামর্শ নেয়া

তথ্যসূত্রঃ https://www.jugantor.com/doctor-

Scroll to Top